>
Home / Live Score / মাত্র ১৫টা কৌশলে কমিয়ে ফেলুন বিদ্যুৎ বিল, ১১ নাম্বারটি অবশ্যই পড়বেন…!!

মাত্র ১৫টা কৌশলে কমিয়ে ফেলুন বিদ্যুৎ বিল, ১১ নাম্বারটি অবশ্যই পড়বেন…!!

যতবার আমরা বিদ্যুতের বিল পাই,আমাদের মনের মধ্যে একটি আতঙ্ক তৈরি হয় যে, এবারের বিল যেন আগের বিলের চেয়ে বেশী না হয়। তবে, কিছু করার পরিবর্তে আমরা

কেবল এই ভেবেই চুপ থেকে যায় যে এটা সরকারের নির্ধারন করা রেট এবং আমাদের কাছে এত বেশী আসা বিল দেওয়া ছাড়া আর কোনো

বিকল্প নেই, যা ভুল। নীচে দেওয়া কয়েকটি উপায়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল কমান অনেকটাই।

১. ত্রুটিপূর্ণ সংযোগের কারণে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। এজন্য পেশাদার কোনো ইঞ্জিনিয়ার ডেকে সংযোগ চেক করিয়ে নিন।

২. যখন মেশিন বা ইস্ত্রি ব্যবহার করবেন না তখন প্লাগ খুলে রাখুন। কারণ, প্লাগ না খুলে সুইচ বন্ধ রাখলেও বিদ্যুৎ কিছুটা হলেও খরচ হয়।

৩. যখন ঘরে থাকবেন না অপ্রয়োজনে আলো, পাখা চালিয়ে রাখবেন না। সুইচ অফ করে রাখুন।

৪. গরমকালে এসি চালালে তরতর করে বাড়ে বিদ্যুৎ বিল। অপ্রয়োজনে এসি না চালিয়ে পাখা চালান।

৫. কম্পিউটার যখন ব্যবহার করবেন না তখন বন্ধ রাখুন অথবা স্লিপ মুডে রাখুন। এতে বিদ্যুৎ কম খরচ হবে।

৬. অনেকেই বাড়িতে ডিশ ওয়াশার ব্যবহার করেন। বাসনকোসন হিট ড্রাই না করে বাতাসে শুকিয়ে নিন।

৭. রান্না করতে করতে বারবার ওভেনের দরজা খুলবেন না। বাইরে থেকেই দেখে বোঝার চেষ্টা করুন। দরজা খুললে তাপমাত্রা কমে যায়। আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ওভেন বেশি বিদ্যুৎ ব্যয় হয়।

৮. এসির খরচ বাঁচাতে ঘর ঠাণ্ডা রাখার অন্য পন্থা নিন। উইন্ডো ব্লাইন্ড ব্যবহার করুন জানালায়।

৯. রান্না করার বেশ কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে পানিতে রেখে বরফ ছাড়িয়ে নিন। বারবার মাইক্রোওয়েভ চালিয়ে ডিফ্রস্ট করলে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়

১০. যদি আপনার অল্প-স্বল্প কিছু রান্না করার থাকে তাহলে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের বদলে স্লো কুকার বা টোস্টার ব্যবহার করুন। এতে বিদ্যুৎ কম খরচ হবে।

১১. রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা রাখুন ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। আর ফ্রিজারের তাপমাত্রা রাখুন -১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। এতে খাবার সুরক্ষিত থাকবে। বেশি ঠাণ্ডা করে রাখলে বিদ্যুৎ নষ্ট হয়।

১২. ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে। খরচ কমাতে চাইলে কখনোই গরম পানির সেটিং ব্যবহার করবেন না। পানি গরম করতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। আর ড্রায়ারে কাপড় শুকানোর বদলে বারান্দা বা ছাদে দড়ি টাঙিয়ে নিন। নেহায়েত বর্ষাকাল না হলে ড্রায়ার ব্যবহারের তেমন কোনো যুক্তি নেই।

১৩. রেফ্রিজারেটরের কয়েল পরিষ্কার রাখলে তা চলতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে না। বছরে দু’বার করে একে পরিষ্কার করিয়ে নিলে আপনার বিল কম আসবে। একইভাবে আপনার এসির ফিল্টারও পরিষ্কার রাখুন। এটা ময়লা থাকলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে।

১৪. আপনার বাড়িতে এখনো পুরনো ধাঁচের লাইট বাল্ব থাকলে তা বদলে এনার্জি-সেভার বাল্ব ব্যবহার শুরু করুন। এগুলো ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে আর এদের আয়ুও হয় ছয়গুণ বেশি। শুধু বাল্ব নয় বরং আরও কিছু ইলেক্ট্রনিকস ব্যবহার করা যেতে পারে যেগুলো কম বিদ্যুতেই চলে। এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

১৫. এসির ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন। এটা ময়লা থাকলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে।

1) রিমোট ও অ্যাপ্লায়েন্স: সুইচ অফ v/s স্ট্যান্ড বাই: রিমোটের সাথে কাজ করা অ্যাপ্লায়েন্স গুলি (যেমন- টিভি, এসি ইত্যাদি) যখন আমরা

রিমোট দিয়ে অফ করি তখন সেগুলো সম্পূর্ণ সুইচ অফ হয় না, সেগুলো স্ট্যান্ড বাই মোডে চলে যায়। স্ট্যান্ড বাই মোডে থাকা কালীন

সরঞ্জাম গুলি ৫% মত পাওয়ার কনজিউম করতে থাকে। তাই যখনই আপনি সেই অ্যাপ্লায়েন্স গুলি ব্যবহার করবেন না বলে অফ করবেন তখন রিমোট দিয়ে অফ না করে সুইচ বোর্ড থেকে কানেকশন অফ করবেন।

5 স্টার প্রোডাক্ট কিনুন: বাড়ির জন্য নতুন কোনো ইলেকট্রিক প্রোডাক্ট কিনলে চেষ্টা করবেন ফাইভ স্টার রেটিং ওয়ালা প্রোডাক্ট কিনতে।

ফাইভ স্টার প্রোডাক্ট গুলির দাম একটু বেশী হলেও এই প্রোডাক্ট গুলি অনেক পরিমাণে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। তাই এবার থেকে নতুন কিছু কেনার সময় রঙ, ফিচার্স এসবের সাথে সাথে স্টার রেটিং টাও খেয়াল রাখবেন।

2) লাইট বাল্ব: বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী বাল্ব : পুরোনো ফিলামেন্ট যুক্ত বাল্ব এর চেয়ে কমপ্যাক্ট ফ্লুরোসেন্ট বাল্ব অর্থাৎ CFL বেশী বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। আবার CFL এর চেয়ে LED বাল্ব আরো বেশী বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।

তাই বাড়ির পুরোনো বাল্ব গুলো পরিবর্তে LED বাল্ব ব্যবহার করুন। এখন প্রায় সব বাড়িতেই এলইডি বাল্ব ব্যবহার হলেও অনেক বাড়িতেই পুরোনো টিউব লাইট রয়ে গেছে।

সেগুলোর পরিবর্তে LED টিউবলাইট লাগান। LED টিউবলাইট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার সাথে সাথে অনেক বেশী টেকসইও। প্রাকৃতিক আলোর ব্যবহার: পর্দা এবং দরজা বন্ধ করে দিয়ে লাইটের নিচে কাজ করার পরিবর্তে,

প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করা অর্থনৈতিক এবং শারীরীক উভয় দিকের জন্যই ভালো।

3) ডিসকাউন্ট/ছাড়: ডিউ ডেটের আগে বিল জমা দিন: ভারতে সাধারনত বিল দেওয়ার ডিউ ডেটের আগে বিল জমা দিলে ২ থেকে ৪ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। তাই সব সময়ই বিল দেওয়ার ডিউ ডেটের আগে বিল জমা দিন।

অনলাইন অফার: বর্তমান সময়ে আমরা প্রায় সকলেই অনলাইন ব্যাঙ্কিং, পেটিএম, ফোন পে, গুগল পে এসব ব্যবহার করি। এই পেমেন্ট এপ্লিকেশন গুলিতে নানান সময় নানা অফার চলে।

সেই অফার গুলি ব্যবহার করে বিল জমা দিলে আপনি বেশ ভালো রকম ক্যাশ ব্যাক পেয়ে যাবেন। তাছাড়া কোনো অফার ছাড়াই এমনিতেই অনলাইন বিল পেমেন্টে অতিরিক্ত ১% ছাড় থাকে।

4) Refrigerator (ফ্রীজ) ও Air Conditioner (এসি): রেফ্রিজারেটরকে ঠান্ডা জায়গায় রাখুন: রেফ্রিজেটরকে সূর্যের আলো, ওভেনের তাপ সহ সমস্ত তাপের উত্‌স থেকে দূরে রাখুন এবং বাড়ির

সবচেয়ে ঠান্ডা জায়গায় রাখার চেষ্টা করুন। ফ্রীজের চারপাশটা ফাঁকা রাখুন ও ফ্রীজের পেছনের কয়েল পাইপ গুলি নিয়মিত পরিস্কার করুন যাতে এয়ার ফ্লো হতে অসুবিধে না হয়।

রেফ্রিজারেটর এভাবে ব্যবহার করুন: রেফ্রিজারেটরের দরজা খোলার আগে ঠিক করে নিন কী বের করবেন বা রাখবেন এবং চেষ্টা করবেন সবচেয়ে কম সময়ের জন্য দরজা খোলা রাখার।

গরম খাবার বাইরে ঠান্ডা করে তারপর ফ্রীজে রাখবেন। বরফ বানানোর কম্পার্ট্মেন্টের ডিফ্রস্ট সুইচটি নিয়মিত ব্যবহার করবেন।

24-25 ডিগ্রী তে এসি চালান: এয়ার-কন্ডিশনার (এসি) দ্বারা গ্রাহিত বৈদ্যুতিক শক্তি তাপমাত্রা সেটিংয়ের উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। সুতরাং আপনি 18 ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি চালালে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ

ক্ষয় হবে 24-25 ডিগ্রি তে এসি চালালে তার চেয়ে অনেক কম বিদ্যুৎ ক্ষয় হবে। তাই এসির তাপমাত্রা খুব কম না রেখে ২৪-২৫ ডিগ্রীতে রাখুন।

নতুন এসি কিনলে 5 স্টার – ইনভার্টার ভিত্তিক এসি কিনুন: ইনভার্টার টেকনলজি যুক্ত এসি সাধারণ এসির চেয়ে অনেক বেশী বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। এই কয়েকটি খুবই সাধারণ উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কমান খুব সহজেই।

About admin

Check Also

Rishabh Pant Is “India’s Best Ever Wicketkeeper-Batter”: Ex-India Cricketer

Former India opening batter Aakash Chopra termed Rishabh Pant as India’s best wicketkeeper-batterRishabh Pant changed …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *